জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের বই মেলা উদ্বোধনে- ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল
আমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের আয়োজনে বইমেলা উদ্বোধন করেন
শনিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় আবদুল কুদ্দুছ মাখন মুক্ত মঞ্চের ফটকের সামনে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের আয়োজনে আলোচনা সভার সভাপতি নাদিয়া পাঠান পাপনের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহীনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়াল খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই দেশে স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র থেকে শুরু করে অর্থনৈতিকসহ প্রতিটি অর্জনের সাথে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং তাঁর পরিবার অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। এই দেশে তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারের অবদান সবচেয়ে বেশি।
১৯৭১ যখন পাক বাহিনী হামলা করেছিল ২৫ মার্চ, যার কারণে বাংলাদেশ নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ে। ঠিক তখনই শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। তিনি তখন সমগ্র জাতিকে এক্যবদ্ধ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। তৎকালীন আওয়ামীলীগ কিংবা তাদের দোসররা সবাই আগরতলা এবং কুষ্টিয়া, মেহেরপুর দিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল।
পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৭৫এ পটপরিবর্তন হওয়ার পর যখন দেশ পুনরায় নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়েছিল ঠিক আবারও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের নেতৃত্ব ধরেছিলেন।
তৎকালীন আওয়ামীলীগসহ সকল রাজনৈতিক দল স্বৈরাচার এরশাদের সাথে আঁতাৎ করে নির্বাচনে গিয়ে স্বৈরাচার এরশাদকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। আজকে যে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হয়েছে সেটা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছি। এই ফ্যাসিস্ট সরকার জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অনেক মিথ্যা কথা বলেছে। যে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন সেই প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাজাকার আখ্যায়িত করতে দ্বিধাবোধ করেনি এই ফ্যাসিস্ট সরকার। আমরা মনে করি জিয়া পরিবারের অবদান জানা প্রয়োজন। তাই জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের আয়োজনে এই বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। জিয়া স্মৃতি পাঠাগারকে একটি স্থায়ী পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন।
তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, জামায়াতে ইসলামী, জুনাইদ সাকি, সিপিবিসহ সকল দলই নির্বাচন চাচ্ছে। তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) কিসের ভিত্তিতে এসব কথা বলে আমার সন্দেহ হচ্ছে। আজকে আইনশৃংখলার যে অস্থিরতা চলছে নির্বাচিত সরকার ছাড়া এই অস্থিরতা দমন করতে পারবেনা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যা-ই বলুক না কেন নির্বাচিত সরকার ছাড়া এই দেশে বিনিয়োগ আসবেনা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এবিএম মোমিনল হক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. আলী আজম, যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম মোল্লা, দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট মো. শামসুজ্জামান কানন, প্রচার সম্পাদক মো. মাহিন, প্রচার সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ কবির আখন্দ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. মোস্তফা, সহ দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৈমুর প্রমূখ।