কাজ নাই বেতন নাই!
জাগো অনশন বন্দি উঠরে যত
জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত।
যত অত্যাচারে আজ বজ্রহানি
হাঁকে নিপীড়িত জনমন মথিত বাণী।
নব জনম লভি অভি নব ধরণী
ওরে ঐ আগত।
কাজী নজরুলের কবিতায় শ্রমিকদের মনের ভাব প্রকাশ পাওয়া শ্রমিকেরা জানে কাজ, ওরা জানে পরিবারের জন্য দু’বেলার খাদ্য সংগ্রহ করা। শ্রমিক দিবসে শ্রমিক নেতারা বিভিন্ন সমাবেশ করেই শ্রান্ত হয়ে পড়ে।
গত বৃহস্পতিবার ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের রেল স্টেশন, কাউতলী, খালপাড়, টানবাজার, জগৎ বাজার, সড়ক বাজার ও আনন্দ বাজারের অসংখ্য শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা শ্রমিক দিবস কী, কবে এবং কেন তার কিছুই জানেনা। তারা জানে রোদ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে শুধু কাজ আর কাজ। কাজ নেই তো বেতন নেই, বেতন নেই তো ঘরে ভাত নেই। শ্রমিক দিবসে সবার ছুটি থাকলেও শ্রমিকদের ছুটি নেই। নিয়মিত কাজে না আসলে মালিকের চোখ রাঙানি, একদিনের বেতন কাটাসহ নানা জটিলতায় পড়তে হয় শ্রমিকদের। নেই চিকিৎসা ব্যবস্থা, নেই বাসস্থান, যখন তখন চাকরি নাই। এছাড়াও রয়েছে নারী পুরুষ শ্রমিকের বেতনের বৈষম্য। এ বৈষম্য যুগযুগ ধরে ঘাঁটি বাঁধলেও এর প্রতিকারে শ্রমিক নেতারা পিছিয়ে রয়েছে।