
আমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে ২৫ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কে বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড (কুট্টাপাড়া মোড়) হয়ে শাহবাজপুর ও বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা এলাকা পর্যন্ত এই যানজট তৈরি হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা, গাড়ির চালক ও হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফোরলেন নির্মাণকাজের কারণে সড়ক সরু হয়ে গেছে। পাশাপাশি আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড় এলাকায় তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এর সঙ্গে দুটি মোড়ের অকার্যকর ব্যবস্থাপনাও যুক্ত হয়ে ভয়াবহ যানজটের জন্ম দিয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ ছয় বছর ধরে চলছে। এক পাশের কাজ শেষ হলেও সম্পূর্ণরূপে চালু হয়নি। ফলে সরু একটি পাশ দিয়েই দীর্ঘদিন ধরে যান চলাচল করছে।

এদিকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর ও বিশ্বরোড মোড়ে গভীর অসংখ্য গর্তে ধীরগতিতে চলছে পণ্যবাহী গাড়ি। কখনও সেগুলো গর্তে আটকে গিয়ে বিকল হয়ে পড়ছে। ফলে যানজট বাড়ছে। এসব জায়গায় যান চলাচলের গতি নামিয়ে আনতে হচ্ছে ঘণ্টায় ১ থেকে ৫ কিলোমিটারে।
অন্যদিকে, আশুগঞ্জ থেকে ঢাকামুখী লেনে ভৈরব সেতু পর্যন্তও যানজট ছড়িয়ে পড়ে। সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে অসংখ্য বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কার। অনেক যাত্রী রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যানবাহনের মধ্যেই আটকে ছিলেন।

চালক ও যাত্রীরা জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে এই সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দের কারণে গাড়ি আটকে যায়। ফলে দীর্ঘ যানযটের তৈরি হয়। এক ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে। এছাড়া গাড়িরও বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত মেরামত করে দিলে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেন, “আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড়ের চারপাশে তিন ফুটের বেশি গভীর গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে গাড়ি এসে ৭০ কিলোমিটার গতি থেকে কমে ৫ কিলোমিটারে নামতে বাধ্য হচ্ছে। একটি ট্রাককে একটি মোড় অতিক্রমে লাগছে ২০ মিনিট পর্যন্ত। ফলে যানজট অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।