
আমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণ-অধিকার পরিষদ।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বর থেকে প্রতিবাদ মিছিলটি শহরের টিএ রোড, কালীবাড়ি, কলেজ রোড, ডিসি বাংলা রোড হয়ে কাউতলী মোড়ে কুমিল্লা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে। গণ-অধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি আশরাফুল হাসান তপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিউর রহমান তানভীরের সঞ্চালনায় জেলা গণধিকার পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ বিক্ষোভ মিছিলে জেলার বিভিন্ন উপজেলা নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের তরুণ সমাজের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তারা অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীনদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে, যাতে গণতান্ত্রিক আন্দোলন স্তব্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আন্দোলন কোনোভাবেই দমিয়ে রাখা যাবে না।
নেতাকর্মীরা আরও বলেন, যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি তরুণ-যুবককে সোচ্চার হতে হবে। বক্তারা এ সময় ১৪ দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানান। একইসঙ্গে সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তারা।
বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নুরুল হক নুরসহ গণধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর যদি আবারও হামলা হয় তবে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। দেশের জনগণ রাস্তায় নেমে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে।
বিক্ষোভে জেলা গণধিকার পরিষদের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের হাতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড বহন করে স্লোগান দেন— “ভিপি নুরের ওপর হামলার বিচার চাই”, “১৪ দল নিষিদ্ধ করতে হবে”, “গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্র চলবে না”
প্রদিবাদ সমাবেশ শেষে সংগঠনের নেতারা আবারও ঘোষণা দেন, আগামী দিনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে শক্তিশালী করে তুলতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি থেকেই গণ-অভ্যুত্থানের সূচনা হবে।