ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার ২৬শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  আজকের সংবাদব্রাহ্মণবাড়িয়ারাজনীতিসরাইল

মামলা বাণিজ্যের শিকার ব্যবসায়ী কারাগারে, মুক্তির দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

আসামি না হয়েও হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ব্যবসায়ীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে অরুয়াইল বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভে বিএনপি, জামায়াত, খেলাফত মজলিশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। কর্মসূচি থেকে বক্তারা অভিযোগ করেন, “মাহবুব মামলা বাণিজ্যের শিকার হয়েছেন।”

বক্তারা বলেন, মোদিবিরোধী আন্দোলনের একটি মামলায় প্রায় দেড় মাস আগে মাহবুবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সরাইল থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারে তার নাম নেই। পরে একটি ভুয়া ছাত্রলীগ কমিটি দেখিয়ে ‘রাজনৈতিক পরিচয়’ দেখানোর মাধ্যমে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

বাজারের ব্যবসায়ী গাজী মো. শফিক বলেন, “শুধু মাহবুব নয়, তার পরিবারের কেউ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

অরুয়াইল ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক গাজী আব্দুল আজিজ বলেন, “মাহবুবের পরিবার বিএনপি সমর্থক হলেও সরাসরি রাজনীতিতে সক্রিয় নয়। তিনি ও তার ভাইয়েরা এলাকার ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত।”

অরুয়াইল ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মো. সানাউল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, “মাহবুবকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।”

মাহবুবের বড় ভাই মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন ষড়যন্ত্র করে আমার ভাইকে ফাঁসিয়েছে। ছাত্রলীগের একটি কমিটির প্যাডে নাম এডিট করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য তৈরি করা হয়েছে।”

স্থানীয়রা জানান, মাহবুব অরুয়াইল বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন এবং তিনি এলাকার সামাজিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত। তার হঠাৎ গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল বলে মনে করছেন অনেকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, “মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বলা যাবে। তদন্তাধীন অবস্থায় কে জড়িত, কে জড়িত না—এ ধরনের কথা বলা শোভা পায় না।”