ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার ২৬শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আর্কাইভ
হোম  »  গলাচিপাপটুয়াখালি

গলাচিপায় সাংবাদিকের জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে মহিলা কলেজের প্রভাষক ও সাংবাদিক হারুন অর রশিদের পারিবারিক জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী কাইয়ুম মাহমুদের বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রতনদী মৌজার চারটি দাগের মাধ্যমে সাংবাদিক হারুন অর রশিদের পিতা আপ্তার আলী হাওলাদার ১৯৮১ সালে নজরুল প্যাদাসহ ছয় ভাইবোনের কাছ থেকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। বর্তমানে ওই জমিতে দুটি বাড়ি রয়েছে এবং সেখানে সাংবাদিক হারুন অর রশিদের দুই ভাই অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন ও আবুল কাশেম বসবাস করছেন।

হারুন অর রশিদসহ তিন ভাইয়ের নামে ৪৫ শতাংশ জমি দিয়ারা জরিপে (বিএস) অন্তর্ভুক্ত হয় এবং ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই সেটেলমেন্ট প্রেস, ঢাকা কর্তৃক ১৬৩১ নম্বর খতিয়ান খোলা হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, জমির বিক্রেতা নজরুল প্যাদা জরিপ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করে প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশ জমি বাদ দেন। পরবর্তীতে নজরুল প্যাদার ছেলে সাবু প্যাদা ওই অংশের মধ্যে ৬ শতাংশ জায়গা ভরাট করে কাইয়ুম মাহমুদের কাছে বিক্রি করেন।

এ ঘটনায় সাংবাদিক হারুন অর রশিদ গত ৪ জুন ২০২৫ তারিখে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদের কাছে কাইয়ুম মাহমুদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর গলাচিপা থানা পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা সালিশি বৈঠক করে, যেখানে কাইয়ুম মাহমুদকে আদালতের মাধ্যমে কাগজপত্র সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে অভিযোগ রয়েছে, কাইয়ুম মাহমুদ নির্দেশ অমান্য করে পুনরায় দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। রবিবার সকালে তিনি জোরপূর্বক জায়গাটি দখল করে ঘর নির্মাণ শুরু করলে সাংবাদিক হারুন অর রশিদ বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন। পরে গলাচিপা থানার এসআই কামাল ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে কাইয়ুম মাহমুদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলে বর্তমানে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে।